পন্য সারাজীবনের জন্য নয় মোটেই । বরং বেশির ভাগ পন্যর আবেদন ফুরায় কিছু দিনের মাঝেই। বর্তমান যুগে চাহিদার পারদ মাত্রাহীন। লাগাম টানা বড় দায়। প্রয়োজন তো আছেই, শখও যেন সীমাহীন । এক সময় প্রশ্ন করা হতো ‘কোয়ালিটি নাকি কোয়ান্টিটি?’ । এই যুগে এ দুয়ের মাঝ থেকে একটিকে বেছে নেয়ার উপায় নেই। কারন চাই দুটোই। কোয়ালিটি ফুল কোয়ান্টিটি ! কিন্তু কিভাবে? আয় ব্যায়ের সামঞ্জস্য করে মনের মতো কেনাকাটার সুযোগটা তো অধরা। নতুন পন্যর ট্যাগ লাইনে মূল্য দেখে আবার রেখে দেয়া। এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনের পন্য অদল-বদল বেশ সাড়া দিচ্ছেন নাগরিকেরা।
সাইবেরি টিম এ বিষয় নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে বেশ কিছু দিন ধরে। আমাদের দেশের ব্যবসা আর বানিজ্য দুটোতেই বেশ পরিবর্তন এসেছে । আধুনিকায়ন পরশ বুলিয়েছে সব খানে। তারই ধারাবাহিকতায় মানুষ এখন প্রয়োজন আদান প্রদান শিখেছে। তারপরেও কথা থাকে । সেভাবে স্বস্তিকর নয় অদল বদলের বিষয়টা এমন তথ্যই খুঁজে পেয়েছে সাইবেরি টিম।
- প্রথমত, ব্যবহৃত পন্য আদান প্রদান কিংবা বিক্রি করার জন্য এ দেশে কোন স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম সেভাবে নেই। তাই সেকেন্ড হ্যান্ড কোন কিছুর ক্রয়- বিক্রয়ের বিষয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কেই চিন্তাহীন থাকা সম্ভব হয় না।
- পন্য মান নিয়ে সংশয় রয়েছে। বেশীর ভাগ সময়েই মান নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে থাকতে হয় ক্রেতা কে।
- যেহেতু সরাসরি পন্য যাচাই করে কেনার মতো সুযোগ নেই, তাই নির্ভর করতে হয় অনুমানের উপরে। পোশাকের আঁকার এবং রং সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।
- আনঅফিসিয়াল প্লেস বেছে নিতে হয় পন্য বেচা কেনার উদ্যেশ্যে। যা দু পক্ষকেই বেশ খানিকটা নিরাপত্তাহীনতা দেয়।
- পন্য সঠিক ভাবে প্যাকেজিং করা থাকে না বললেই চলে। ফলে প্রথম দর্শনেই অস্বস্তি নিয়ে পন্য গ্রহণ করতে হয় ।
- পন্য সম্পর্কে তথ্য থাকে না বললেই চলে। তাই যত্ন নেয়ার বিষয়ে ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়।
- ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে পন্য পরিশোধের পরে ঠিকানায় পন্যর বাক্স পৌঁছালেও ভেতরে পন্য না থাকার মতো অঘটনের ইতিহাসও রয়েছে।
- যথাযথ কারন দর্শানোর মাধ্যমে পন্য ফেরত দিতে চাইলেও বিক্রেতার পক্ষ থেকে পজেটিভ রেস্পন্সের পরিমান কম।
এর বাইরেও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যা মূলত বিক্রেতাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটায়।
- মান যাচাইয়ের জন্য দক্ষ লোকের অভাব এ দেশে রয়েছে।
- মান যাচাই ব্যতীত পন্য গ্রহণ করার ফলে ক্রেতা সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা যায় না। এর ফলাফল স্বরুপ দীর্ঘমেয়াদি বিক্রেতা-ক্রেতা সম্পর্ক তৈরি হয় না।
- পণ্য গ্রহনের আগে সরাসরি পন্য দেখা ক্রেতার পক্ষে সম্ভব হয় না। ছবি দেখে পন্য সম্পর্কে ক্রেতা অনেক সময়েই নিশ্চিত হতে পারেন না। হাতে পাওয়ার পড়ে তাই অনেক সময়ে পণ্য নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেন না। যার ফলে অভিযোগ তৈরি হয়।
- সকল পণ্য বাল্ক হিসেবে ওয়ার হাউজে না থাকার ফলে ইচ্ছা থাকলেও বদলে অন্য একটি একই রকম পন্য ক্রেতাকে দেয়া সম্ভব হয় না।
- ডেলিভারি সিস্টেমে অনেক ক্ষেত্রেই সন্তোষ জনক নয়। শহরের ট্রাফিকের কারনে পন্য সময় মতো ক্রেতার হাতে পৌছনো অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। এর বাইরেও ডেলিভারির সাথে সম্পর্ক যুক্তদের কাছ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত অভিযোগ এসে থাকে।
- পন্য মূল্য গ্রহনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। ডিজিটাল পেমেন্টের বাইরেও রয়েছে পন্য গ্রহনের পড়ে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা। যেখানে অচল এবং জাল নোটের মত সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার মত অস্বস্তিকর ঘটনাও রয়েছে।
সমস্যা থাকবেই। কিন্তু চাই সমাধান। কেননা, বর্তমান যুগে প্রযুক্তির বর এই ডিজিটাল মার্কেট প্লেস। ব্যস্ততার রুটিনে নিজের জন্য সময় স্বল্পতা বের করা কস্টকর। প্রয়োজন মেটাতে তাই ডিজিটালাইজেশনের কাছেই স্বস্তি। সমস্যা যেহেতু নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে, তাই সমাধানও খুব বেশি দূরে নয়। সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে খুব শিগ্রই আপনাদের মাঝে আসবে CYBERY.